
বাস্তবতা
আমার এক স্যার(এক্স) একটি স্বনাম ধন্য বায়িং হাউজে সিনিয়র লেভেলে মার্চেন্ডাইজার হিসেবে জব করতেন।
করোনা কালীন জব হারিয়েছেন, এখন অন্য একটি বিদেশী এক্সসরিজ কোম্পানীতে কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে জয়েন করেছেন।
একটা সময় ছিলো শুধু বিভিন্ন গার্মেন্টেসের মার্চেন্ডাইজার নয়, মালিকেরাও উনার পিছনে অর্ডারের জন্য ধন্না দিতেন, আর এখন সময়ের ব্যবধানে উনি বিভিন্ন গার্মেন্টের মার্চেন্ডাইজারদের কাছে এক্সেসরিজ বিজনেসের জন্য ঘুর ঘুর করছেন।
একটি গার্মেন্টেসের সিনিয়র এক মার্চেন্ডাইজারকে ফোন দেওয়ার পর যথাযথ মূল্যায়ন না পাওয়ার পর আক্ষেপ করে বললেন, এক সময় এই গার্মেন্টেসের মালিক ফ্যাক্টরীতে যাবো বললে গাড়ী পাঠিয়ে দিতেন, সবাই এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন সন্তুুষ্টি লাভের আশায়।
অথচ আজ একই গার্মেন্টেসের মার্চেন্ডাইজারও ফোন করলে বা দেখা করতে গেলে খুব একটা আন্তরিকতা নিয়ে কথা বলে না, পাত্তা দিতে চায় না, ব্যস্ততার অজুহাত দেখায়।
বললেন, আসলে সবকিছু হচ্ছে ঐ চেয়ার, চেয়ার যতক্ষণ আছে, পাওয়ার যতক্ষণ আছে, ক্ষমতা যতক্ষন আছে ততোক্ষণই মানুষের মূল্যায়ন, অন্যথায় প্রফেশনাল জগতে কেউ কাউকে মনে রাখে না, খোঁজ নেয় না, পাত্তা দিয়েও কথা বলে না।
বাস্তবতাঃ
➡️ প্রফেশনাল জগতে মানুষের চেয়ে আসলে চেয়ারের মূল্যায়ন বেশি। সেটা বোঝার জন্য কখনো কখনো চেয়ার ছাড়ার প্রয়োজন হয় না, চেয়ারটা(ক্ষমতা/পাওয়ার) একটু পরিবর্তন হলেই বোঝা যায়।
শিক্ষণীয়ঃ
⏩ কোন ক্ষমতা বা পাওয়ারই চিরস্থায়ী নয়।
⏩ সময় মানুষকে কোথায়, কখন, কার দরজায় নিয়ে দাঁড় করায় কেউ বলতে পারেন না।
No comments:
Post a Comment
Please do not any spam in the comments Box.