পুরুষের বয়স বলে কোন শব্দ নেই There is no word for male age
বাবাদের বয়স বলে কোন শব্দ নেই !
বাবারা হলো বট গাছ;
যত বড় হয় তত বেশি ছায়া দেয় এবং
মা” হলেন সেই বটগাছের পাতা......❤❤❤
✍পুরোটাই পড়ার অনুরোধ রইল.............👇👇👇
ধরুন, একজন তার স্ত্রীর জন্য গিফট কিনতে মার্কেটে গেল। সে এক মার্কেট থেকে আরেক মার্কেটে দৌড়াচ্ছে—হোক বাইরে বৃষ্টি, তুষারপাত অথবা প্রচণ্ড গরম। সে চেষ্টা করছে যেন সবচেয়ে ভালো দামে সবচেয়ে ভালো জিনিসটা তার স্ত্রীকে উপহার দিতে পারে—এমন কিছু যা তার স্ত্রীর সাথে মানানসই হবে। সে উপহারটি র্যাপিং করাল এবং তার স্ত্রীকে দিল ।
তারপর সেই স্বামী যখন তার স্ত্রীকে খুশি মনে উপহারটি খুলতে দেখে,
তার আনন্দের সীমা থাকে না। স্ত্রীর প্রতি তার ভালোবাসার কারণেই সে তাকে সন্তুষ্ট করতে চেষ্টা করে, আর এটা করতে পেরে শেষ পর্যন্ত তার কোনো কষ্টের কথাই মনে থাকে না। শপিং এ যাওয়ার কষ্ট, এক মার্কেট থেকে আরেক মার্কেটে ঘোরার কষ্ট, সেই গিফটের মূল্য যোগানোর জন্য তার হয়তো সপ্তাহ, মাস কিংবা বছরের পর বছর কষ্ট করতে হয়— নিমেষেই সব কষ্টের কথা সে ভুলে যায়।
এমন কী ছিল—যা তার সমস্ত কষ্টকে ভুলিয়ে দিল? শুধু তার প্রিয় মানুষটির হাসিমাখা মুখটা দেখে কেন সে এত কষ্টের কথা ভুলে গেল? এর কারণ— প্রিয় মানুষটির জন্য তার অকৃত্রিম ভালোবাসা ।
”””আমার মায়ের একটা উদাহরণ দিই ।
আল্লাহ আমার এবং আপনাদের মায়েদের জন্য জান্নাতে প্রাসাদ বানিয়ে দিন।
তিনি সারা দিন তাঁর বরকতময় পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে রান্না-বান্না করতেন এমন কি রামাদানের দিনগুলোতেও, সবচেয়ে ভালো এবং মজার খাবারগুলো তিনি বানাতেন । প্রায় সময় এটা হতো পরিবারের জন্য আর কখনও কখনও আমাদের বাসায় আসা শত শত মেহমানের জন্য ।
প্রতিদিনের মতো তিনি ফজরের আগে জেগে উঠতেন কিয়ামুল লাইলের জন্য ।এরপর আবার সারাটা দিন দাঁড়িয়ে বা বসে থাকতেন রান্না ঘরে ।
আল্লাহ তাঁর এই সীমাহীন ত্যাগের জন্য তাঁকে ফিরদাউস আল-আ’লা নসীব করুন ।
মাগরিবের পর আমরা আসতাম আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা শ্রম দিয়ে বানানো তাঁর রান্না গুলো পনের মিনিটেই সাবাড় করে ফেলতাম ।
যখন তিনি তাঁর স্বামী, পুত্র, নাতি-নাতনী এবং মেহমানদের খেতে দেখতেন,তখন তিনি খুব খুশি হতেন ।
কখনও তাঁকে বলতে শুনিনি যে,
আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বসে বসে এসব রেঁধেছি—কখনও না !!!
তিনি বৃদ্ধা হতে লাগলেন এবং তাঁর তীব্র কোমর ব্যাথা, পা ব্যাথা ও দাঁড়িয়ে থাকতে না পারা সত্ত্বেও তিনি কখনও অভিযোগ করেননি—বলেননি যে তাঁর কষ্ট হচ্ছে—
বরং তিনি আমাদের প্লেটে আরও খাবার তুলে দিতেন । এসবের জন্য তিনি আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কার পাবেন এটাই ছিল সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা, আর ছিল আমাদের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ।”””
No comments:
Post a Comment
Please do not any spam in the comments Box.