হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় না ড. ডি. লান্ডেল Dr. D. Landel
হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় না ড. ডি. লান্ডেল Dr. D. Landel
চিকিৎসক হিসেবে পড়াশুনা শেষ করার পর সবাইকে এই মর্মে শপথ নিতে হয় যে, তাঁরা কারো ক্ষতি করবেন না বা তাঁদের দ্বারা কারো ক্ষতিসাধিত হবে না। কিন্তু পেশাগত জীবনে ডাক্তারসহ চিকিৎসা পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্টগণ আরেকটি অঘোষিত নিয়ম মেনে চলেন, তাহলো সহকর্মী চিকিৎসকদের ভুলভ্রান্তি, অবজ্ঞা, অবহেলা ও অনৈতিক কর্মকান্ড সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চুপ থাকেন বা দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়ে যান। পরিসংখ্যান বলছে- চিকিৎসক কর্তৃক চিকিৎসা সংক্রান্ত ভুলভ্রান্তিতে মৃত্যুকে আলাদাভাবে গণনা করলে এটি পৃথিবীব্যাপী ষষ্ঠ প্রধান মৃত্যুর কারণ !
বাংলাদেশের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীরা মূলত ডাক্তার হন। সাধারণ মানুষ আবার স্রষ্টার পরেই জীবন রক্ষাকারী বিবেচনায় ডাক্তারদেরকে মাথায় তুলে রাখেন! সঙ্গত কারণেই শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞান, প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার দাপটে চিকিৎসকদের মনে অহংবোধ ভর করে এবং তাঁরা সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলা থেকে বিরত থাকেন; যার চরম মূল্য দিতে হয় রোগী সাধারণ তথা মানব-সভ্যতাকে।
২০১৫ সালে একজন খ্যাতনামা চিকিৎসক ড. ডি. লান্ডেল- যিনি সুদীর্ঘ ২৫ বছরের পেশাগত জীবনে প্রায় ৫,০০০ বাইপাস সার্জারি করেছেন, বিবেকের দংশনে দংশিত হয়ে প্রথম মুখ খোলেন। লান্ডেল বলেন, সময় এসেছে বিশ্ববাসীকে সঠিক তথ্য জানানোর। হৃদরোগের মূল কারণ রক্তে কোলেস্ট্রেরল-এর আধিক্য নয়, হৃৎপিন্ডের শিরা-উপশিরার দেয়ালে প্রদাহ সৃষ্টি; আর মস্তিষ্কের শিরা-উপশিরার দেয়ালে অনুরূপ প্রদাহ সৃষ্টি স্ট্রোকের কারণ। পরবর্তীতে জানা যায়, হৃৎপিন্ডের শিরা-উপশিরা প্রদাহে আক্রান্ত না হলে শিরা-উপশিরার দেয়ালে কোলেস্ট্রেরল জমে না বা আটকা পড়ে না, বরং প্রাকৃতিক নিয়মে তা রক্তপ্রবাহে ভেসে বেড়ায়।
কোলেস্ট্রেরল শরীরের জন্য এক অতীব দরকারি রাসায়নিক যৌগ। আমাদের শরীরের কয়েক শ’ কোটি কোষ তথা কোষপ্রাচীর তৈরিতে কোলেস্ট্রেরল প্রয়োজন। কোলেস্ট্রেরল-এর ঘাটতি হলে কোষপ্রাচীর ঠিকমতো তৈরি হতে পারে না। অথচ এতো গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো বিচার-বিশ্লেষণ না করেই অতীব প্রয়োজনীয় এই উপাদানটি কমানোর জন্য মুড়ি-মুড়কির মতো ওষুধ খেয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে চিকিৎসাবিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেক বিশেষজ্ঞেরও কোলেস্ট্রেরলের সার্বিক কার্যাবলী সম্পর্কে যথাযথ ধারণা নেই!
স্পষ্ট ভাষায় জেনে রাখুন- হৃদ্পিণ্ডে ব্লকেজ থাকলেই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় না, যদি নিজেকে সব সময় দুশ্চিন্তা-মুক্ত রাখতে পারেন। দুশ্চিন্তা করলে ব্লকেজ ছাড়াও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে! সুতরাং ওষুধ-নির্ভরতা কমানোর পাশাপাশি নিজেকে সব সময় মানসিক চাপমুক্ত রাখুন।
হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় না ড. ডি. লান্ডেল Dr. D. Landel
হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় না ড. ডি. লান্ডেল Dr. D. Landel
চিকিৎসক হিসেবে পড়াশুনা শেষ করার পর সবাইকে এই মর্মে শপথ নিতে হয় যে, তাঁরা কারো ক্ষতি করবেন না বা তাঁদের দ্বারা কারো ক্ষতিসাধিত হবে না। কিন্তু পেশাগত জীবনে ডাক্তারসহ চিকিৎসা পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্টগণ আরেকটি অঘোষিত নিয়ম মেনে চলেন, তাহলো সহকর্মী চিকিৎসকদের ভুলভ্রান্তি, অবজ্ঞা, অবহেলা ও অনৈতিক কর্মকান্ড সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চুপ থাকেন বা দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়ে যান। পরিসংখ্যান বলছে- চিকিৎসক কর্তৃক চিকিৎসা সংক্রান্ত ভুলভ্রান্তিতে মৃত্যুকে আলাদাভাবে গণনা করলে এটি পৃথিবীব্যাপী ষষ্ঠ প্রধান মৃত্যুর কারণ !
বাংলাদেশের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীরা মূলত ডাক্তার হন। সাধারণ মানুষ আবার স্রষ্টার পরেই জীবন রক্ষাকারী বিবেচনায় ডাক্তারদেরকে মাথায় তুলে রাখেন! সঙ্গত কারণেই শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞান, প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার দাপটে চিকিৎসকদের মনে অহংবোধ ভর করে এবং তাঁরা সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলা থেকে বিরত থাকেন; যার চরম মূল্য দিতে হয় রোগী সাধারণ তথা মানব-সভ্যতাকে।
২০১৫ সালে একজন খ্যাতনামা চিকিৎসক ড. ডি. লান্ডেল- যিনি সুদীর্ঘ ২৫ বছরের পেশাগত জীবনে প্রায় ৫,০০০ বাইপাস সার্জারি করেছেন, বিবেকের দংশনে দংশিত হয়ে প্রথম মুখ খোলেন। লান্ডেল বলেন, সময় এসেছে বিশ্ববাসীকে সঠিক তথ্য জানানোর। হৃদরোগের মূল কারণ রক্তে কোলেস্ট্রেরল-এর আধিক্য নয়, হৃৎপিন্ডের শিরা-উপশিরার দেয়ালে প্রদাহ সৃষ্টি; আর মস্তিষ্কের শিরা-উপশিরার দেয়ালে অনুরূপ প্রদাহ সৃষ্টি স্ট্রোকের কারণ। পরবর্তীতে জানা যায়, হৃৎপিন্ডের শিরা-উপশিরা প্রদাহে আক্রান্ত না হলে শিরা-উপশিরার দেয়ালে কোলেস্ট্রেরল জমে না বা আটকা পড়ে না, বরং প্রাকৃতিক নিয়মে তা রক্তপ্রবাহে ভেসে বেড়ায়।
কোলেস্ট্রেরল শরীরের জন্য এক অতীব দরকারি রাসায়নিক যৌগ। আমাদের শরীরের কয়েক শ’ কোটি কোষ তথা কোষপ্রাচীর তৈরিতে কোলেস্ট্রেরল প্রয়োজন। কোলেস্ট্রেরল-এর ঘাটতি হলে কোষপ্রাচীর ঠিকমতো তৈরি হতে পারে না। অথচ এতো গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো বিচার-বিশ্লেষণ না করেই অতীব প্রয়োজনীয় এই উপাদানটি কমানোর জন্য মুড়ি-মুড়কির মতো ওষুধ খেয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে চিকিৎসাবিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেক বিশেষজ্ঞেরও কোলেস্ট্রেরলের সার্বিক কার্যাবলী সম্পর্কে যথাযথ ধারণা নেই!
স্পষ্ট ভাষায় জেনে রাখুন- হৃদ্পিণ্ডে ব্লকেজ থাকলেই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় না, যদি নিজেকে সব সময় দুশ্চিন্তা-মুক্ত রাখতে পারেন। দুশ্চিন্তা করলে ব্লকেজ ছাড়াও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে! সুতরাং ওষুধ-নির্ভরতা কমানোর পাশাপাশি নিজেকে সব সময় মানসিক চাপমুক্ত রাখুন।
No comments:
Post a Comment
Please do not any spam in the comments Box.