Golpo Kotha Live

Oct 1, 2020

শিশুরা খেলাধুলা- নিঃসঙ্গ ও নিরানন্দ জীবন

শিশুরা খেলাধুলা- হৈ চৈ করবে না, এটা ভাবা যায় ? 
সারাদিন ছোটো-ছুটি করবে, দুষ্টুমি করবে, সেই সঙ্গে মাতিয়ে রাখবে সবাইকে এটাই স্বাভাবিক।

শিশুকে মনের বিরুদ্ধে জোর করে সারাক্ষণ বই নিয়ে বসিয়ে রাখলেই হবে না।
শিশুদের মেধার বিকাশের জন্য খেলাধুলা ও হাসি আনন্দের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে গড়ে তুলতে হবে।
শিশুর বিকাশে প্রয়োজন আনন্দময় শৈশব। তাই শিশুকে সারাক্ষণ পড়াশোনার শেকলে বন্দি না রেখে 
খেলাধুলার সুযোগও দিতে হবে।

নিঃসঙ্গ ও নিরানন্দ জীবন শিশুর স্বাভাবিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে। তাকে বিপথগামীও করে।


রাসুলুল্লাহ (সা.) মাঝেমধ্যেই তাঁর শিশু নাতিদের সঙ্গে খেলাধুলায় লিপ্ত হতেন। তাঁদের সময় দিতেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) দিনের এক অংশে বের হলেন, তিনি আমার সঙ্গে কথা বলেননি এবং আমিও তাঁর সঙ্গে কথা বলিনি। অবশেষে তিনি বনু কাইনুকা বাজারে এলেন (সেখান থেকে ফিরে এসে) হজরত ফাতেমা (রা.)-এর ঘরের আঙিনায় বসলেন। অতঃপর বললেন, এখানে খোকা [হাসান (রা.)] আছে কি? এখানে খোকা আছে কি? ফাতেমা (রা.) তাঁকে কিছুক্ষণ সময় দিলেন। আমার ধারণা হলো, তিনি তাঁকে পুঁতির মালা—সোনা-রুপা ছাড়া যা বাচ্চাদের পরানো হতো, পরাচ্ছিলেন (সাজিয়ে দিচ্ছিলেন)। তারপর তিনি দৌড়ে এসে তাকে জড়িয়ে ধরলেন এবং চুমু খেলেন। তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহ! তুমি তাকে (হাসানকে) মহব্বত করো এবং তাকে যে ভালোবাসবে তাকেও মহব্বত করো।’ (বুখারি, হাদিস : ২১২২)


হজরত হাসান (রা.) ও হোসাইন (রা.)-ও খেলা করতেন। একদিন হোসাইন (রা.) গলির মধ্যে খেলছিলেন। প্রিয় নবী (সা.) সেই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি লোকদের অগ্রভাগে এগিয়ে গেলেন এবং তাঁর দুই হাত প্রসারিত করে দিলেন। বালকটি এদিক-ওদিক পালাতে থাকল। কিন্তু নবী (সা.) তাকে হাসতে হাসতে ধরে ফেলেন। এরপর তিনি তাঁর এক হাত ছেলেটির চোয়ালের নিচে রাখলেন এবং অপর হাত তার মাথার তালুতে রাখলেন। তিনি তাকে চুমু দিলেন এবং বললেন, ‘হোসাইন আমার থেকে এবং আমি হোসাইন থেকে। যে ব্যক্তি হোসাইনকে ভালোবাসে, আল্লাহ তাআলা তাকে ভালোবাসেন। হোসাইন আমার নাতিদের একজন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৪৪)
.

No comments:

Post a Comment

Please do not any spam in the comments Box.

Please Subscribe For My YouTube

গল্প কথা


আজকের শিশু আগামি দিনের ভবিস্যৎ.........









Contact Us

Name

Email *

Message *