বর্ণামালা
একটি শিশু ধীরে ধীরে বর্ণামালা শিখতে শুরু করে। প্রথমে বলা শিখে এরপর লেখা। লিখতে যেয়ে কত পরিশ্রমই না করতে হয়, পেনসিলটা ভালোভাবে ধরা শিখতে হয়, বর্ণমালাগুলো ঠিকমতো করে লেখা শিখতে হয়। এরপর ধীরে ধীরে সে শব্দ তৈরী করতে শিখে তারপর ধীরে ধীরে এক একটা বাক্য তৈরী করতে শিখে। ধারাবাহিক একটা প্রক্রিয়া, প্রথমেই একটা শিশু যদি বর্ণমালা না শিখে, তাহলে সে বাক্য তৈরী করতে পারবে না।
বাক্য লিখতে যেয়ে যখন ভুল হয় তখন তাৎক্ষণিকভাবে খুব কম মানুষই তার ভুলগুলো ধরতে পারে। পরবর্তীতে যখন সে পুনরায় লেখাটা পড়ে তখন ভুলগুলো তার চোখে পরে আর পরবর্তীতে যেন এমন ভুল না হয় সে ব্যাপারে সে সতর্ক হয়। তার এই ভুল ধরাটা নির্ভর করে তার জানার উপর, সে যদি না জানে তাহলে ভুলটাকেই সে শুদ্ধ হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করে।
একজন মুসলিমকে অবশ্যই ইসলাম কি, ঈমান কি এই বিষয়ে নির্ভূল জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ মুসলিম ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করাটাকে দেখে “সময় হলে একটু পড়ব” হিসেবে। আল্লাহ তাআলা সর্বপ্রথম সে ওহী নাযিল করেছেন সেখানে কোন নামাজের আদেশ দেওয়া হয়নি, রোজা রাখার কথা বলা হয়নি, যাকাতের কথা বলা হয়নি, হজ্জ্বের কথা বলা হয়নি। আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ
“পড়! তোমার রবের নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।” (সূরা আলাক্বঃ ০১)
অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার প্রথম আদেশটিই ছিল, পড় !
No comments:
Post a Comment
Please do not any spam in the comments Box.